আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো হার্ট বা হৃৎপিণ্ড। আজ আমরা হার্ট ভালো রাখার সহজ ১১ টি উপায় জানবো। হার্ট বা হৃৎপিণ্ড ভালো রাখবে এমন খাবার আমাদের প্রতিদিন সেবন করা উচিত। এই অঙ্গটি আমাদের দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত পোঁছে দেয়। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হৃৎপিণ্ড অটলভাবে তাঁর কাজ চালিয়ে যাওয়ার ফলে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। তাই আমাদের সুস্থ থাকতে হলে হার্ট এর খেয়াল রাখা খুবই জরুরি।
তাই আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এমন হার্ট ভালো রাখার সহজ ১১টি উপায়। এই খাবার গুলো নিয়মিত খাবার তালিকা সাথে থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ভয় কমে যায় অনেকটাই। এমন সকল তথ্য জানতে আমাদের ফলো করুন।
Table of Contents
১। আপেল:

আপেলের মধ্যে ম্যালিক অ্যাসিড পাওয়া যাই ও ম্যালিক ল্যাটিন শব্দ ম্যালুস থেকে এসেছে যার অথ আপেল। প্রতিদিন আপেল খেলে তাঁর খারাপ কোলেষ্টেরল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে ত্বকে তারন্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
২। ডালিম:

টসটসে লাল দানার ফল পলিফেনল দিয়ে পরিপূর্ণ। যা হৃদরোগের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মধ্যে একটি। ডালিম পিত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের উপর প্রাকৃতিক শীতল প্রভাব ফেলে।
৩। কমলা:

কমলা রয়েছে ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস আমাদের শরীরের জন্য প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই পাওয়া যায় একটি কমলা সেবন করলে। কমলা খেলে তাঁর ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে এবং হাইড্রেটেড রাখে।
৪। অ্যাভোকাডো:

মাখনফলে পটাশিয়ামের মাত্রাধিক্য থাকায় ফলটি হৃৎপিন্ড সবল ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিদেশি ফল হলেও আমাদের দেশের অনেক সুপারশপ বা ফলের দোকান গুলো তে অ্যাভোকাডো পাওয়া যায়।
৫। ব্লবেরি:

ব্লবেরি অ্যান্থোসায়নিন সমৃদ্ধ। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বাধক্য ধীর করে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। মানসিক চাপ এবং প্রদাহ মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। গবেষনায় দেখা গেছে, নিয়মিত বেরি ফল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
৬। বাদাম:

বাদাম মধ্যে যেমন- কাজু বাদাম, চীনা বাদাম, হেজেলনাট, আখরোটসহ অন্যন্যা বাদাম স্বাস্থ্যের হার্ট এর জন্য খুবেই উপকারী। এই বাদামগুলো প্রোটিন, আঁশ, খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে।
৭। টকদই:

যাদের হার্ট এর সমস্যা আছে তাঁরা টকদই খেতে পারেন। লো ফ্যাট দুধ বা টকদই যে ক্যলসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে। তা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।
৮। বীজ জাতীয় খাবার:

তিল সিয়াসিডের মতো বীজ জাতীয় খাবার ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর থাকে। ওমেগাতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
৯। সবুজশাক সবজি:

সবুজশাক গুলোতে ভিটামিন খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এসব উপাদান ধমনীকে সুরক্ষা দেয় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। ফলে সবুজ শাক সবজি নিয়মিত আহার করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় টয়েটো, ব্রকলি, পালংশাক, মিষ্টি আলু হার্ট এর জন্য খুবই ভালো।
১০। সামুদ্রিক মাছ:

সপ্তাহে কমপক্ষে দু’বার উপকারী ওমেগা থ্রি ফ্যটি অ্যসিড সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ খাওয়া উচিত। এটি ধমনিতে প্রাক বা ব্লক সৃষ্টির প্রক্রিয়া সমহর করে। টুনা, ইলিশ, রুপচাঁদায় এই মাছ গুলোতে ওমেগা থ্রি থাকে।
১১। গ্রীন টি:

হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে গ্রীনটি খুবই কার্যকারী। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গিয়েছে গ্রীনটি শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। গ্রীন টি শরীরের ক্ষতিকর কোলেষ্টরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই কমে যায়।